অন্যান্য সরকারি চাকরিতে সব পেশার লোকজনকে যেভাবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে সেভাবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হলে যুগের চাহিদা পূরণ করা অসম্ভব। তাই পুলিশের জন্য পৃথক নিয়োগপদ্ধতি প্রবর্তন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ।
বাংলাদেশ পুলিশ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন) আয়োজিত ‘জেন্ডার রেসপন্সিভ পুলিশিং: অ্যান অ্যাপ্রোচ অব বাংলাদেশ পুলিশ অ্যান্ড রোল অব বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ২২ মার্চ (সোমবার) প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বেনজীর আহমেদ।
আজ সোমবার রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন) আয়োজিত ‘জেন্ডার রেসপন্সিভ পুলিশিং: অ্যান অ্যাপ্রোচ অব বাংলাদেশ পুলিশ অ্যান্ড রোল অব বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বেনজীর আহমেদ।
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আমরা রিক্রুটমেন্ট রুলস (নিয়োগবিধি) পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি। মাসখানেকের মধ্যে কনস্টেবল থেকে ইন্সপেক্টর পর্যায়ে পরিবর্তনগুলো চূড়ান্ত হয়ে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিয়োগবিধিতে পরিবর্তনেরও সুপারিশ করছেন তিনি। যেভাবে সরকারি চাকরিতে সব পেশার লোকজনকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, সেভাবে পুলিশের নিয়োগ হলে যুগের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে না। পুলিশের জন্য পৃথক নিয়োগপদ্ধতি প্রবর্তন করা দরকার। অনুষ্ঠান শেষে ঠিক কী ধরনের পরিবর্তন পুলিশ চাইছে, জানতে চাইলে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান।
পুলিশ বাহিনীতে নারী সদস্যদের নিয়োগ প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, থানা পর্যায় পর্যন্ত নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা ডেস্ক করা হয়েছে। এই ডেস্কগুলো পরিচালনার জন্য আরও নারী সদস্য প্রয়োজন। ২০১৫ সালের মধ্যে নারী পুলিশ পুরো বাহিনীর ১১ শতাংশে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল, কিন্তু তা পূরণ হয়নি। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের মহাসচিব শায়লা ফারজানাকে স্কুল-কলেজে গিয়ে নারীদের পুলিশে যোগ দেওয়ায় উদ্বুদ্ধ করতে অনুরোধ করেন।