টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা : না পেলে নতুন ভাবনা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পরবর্তী চালান সময়মতো না পাওয়া গেলে টিকাদান কার্যক্রম নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে বলে জানিয়েছেন।
সোমবার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সম্প্রসারিত ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “টিকা কর্মসূচি আমরা এখনও চালিয়ে যাচ্ছি। এই মাসে টিকার যে চালান আসার কথা ছিল সেই টিকা আমরা পাইনি। সেটা যথাযথ পাওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি জানিয়েছেন।

“যে সংখ্যায় টিকা পাওয়ার কথা তা যদি আমরা পেয়ে যাই তাহলে আমাদের যে কার্যক্রম চলছে তা ব্যাহত হবে না। আর যদি টিকা না পাই তাহলে স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে চিন্তা করতে হবে।”

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে গত নভেম্বরের চুক্তি করে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে ওই টিকা তা সরবরাহের দায়িত্বে আছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। ওই চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। সে অনুযায়ী জানুয়ারিতে ৫০ লাখ ডোজ দেশে এলেও বিপুল চাহিদা আর বিশ্বজুড়ে টিকার সরবরাহ সঙ্কটের মধ্যে ফেব্রুয়ারির চালানে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডোজ হাতে পায়।

এর বাইরে ভারত সরকার দুই দফায় উপহার হিসেবে দিয়েছে মোট ৩২ লাখ ডোজ, সেগুলোও সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় নিজস্ব চাহিদার কথা বিবেচনা করে ভারত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার রপ্তানি সাময়িকভাবে স্থগিত করায় চুক্তির টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমবার জানান, টিকার জন্য ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে সেখান থেকেও খুব শিগগিরই টিকা পাওয়া যাচ্ছে না।

“ওখান থেকেও এখন টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। উনারা বলেছেন মে-জুনের আগে কোভেক্সের টিকাও দিতে পারছে না।”

জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকার অন্যান্য উৎস থেকেও টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেখান থেকে আশ্বাস পেলে সরকার ইতিবাচকভাবে তা গ্রহণ করবে।

“আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। সেখান থেকে যদি কোনো আশ্বাস পাই তাহলেও আমরা পজিটিভলি এগিয়ে যাব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও চেষ্টা করছেন যাতে আমরা টিকা পাই এবং টিকা কার্যক্রম যেন ব্যাহত না হয়।”

টিকার প্রথম চালান হাতে পাওয়ার পর গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে গণ টিকাদান শুরু হয়। আগামী ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু করার কথা।

 

সূত্র : বিডিনিউজ