পঞ্চগড়ে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক শিক্ষক ও আইনজীবী পরিবার মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা পরস্পরবিরোধী সংবাদ সম্মেলন করেছে।
জানা গেছে, গত ২৫ মার্চ সদর উপজেলার রায়পাড়া গ্রামে ওই শিক্ষক ও আইনজীবী পরিবারের মধ্যে জমির মালিকানা নিয়ে মারামারি হয়। ২৮ মার্চ দুদকের আইনজীবী হাবিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন পঞ্চগড় হাজী সফিরউদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন রাসেল।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দুদকের প্রভাব খাটিয়ে আইনজীবী হাবিবুর রহমান তার পরিবারের উপর নির্যাতন করছে। তার হুমকিতে তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। তারা দুই ভাই-বোনের বাড়িতে অবস্থান করছেন। প্রতিপক্ষ আইনজীবী হওয়ায় আদালতে কোনো আইনজীবী তার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন না। তিনি বলেন, কেনা এবং মালিকানা জমি রেকর্ডভুক্ত করতে দিচ্ছেন না আইনজীবী হাবিবুর রহমান।
অন্যদিকে, ওই স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে বুধবার বিকেলে তাজিমউদ্দিন আহমেদ সুপার মার্কেটে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আইনজীবী হাবিবুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী হাবিুবর রহমান লিখিত বক্তব্য রাখেন।
এসময় তিনি বলেন, রায়পাড়া গ্রামে বাপ দাদার আমল থেকে ২৩ শতক জমির উপর তাদের বাড়ি। কয়েক যুগ আগে থেকে শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন রাসেল পরিবারের সাথে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব বিরাজমান। ভিটে বাড়ির ওই ২৩ শতক জমি জোর করে সেটেলমেন্ট অফিস থেকে রেকর্ডভুক্ত করার লক্ষ্যে পর্চা কাটতে যান দেলোয়ার হোসেন রাসেল।
এ ব্যাপারে আমি উচ্চতর তদন্ত চাইতে গেলে তিনি আমাকে অপমান করেন। পরে আইনজীবীদের একটি দল ও সেটেলমেন্ট অফিসের লোকজন তদন্ত করে আমার নামে পর্চা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু দেলোয়ার হোসেন রাসেল বাধা দেয়। এ নিয়েই ২৫ মার্চ সংঘর্ষ হয়। এসময় পঞ্চগড় সদর থানার পুলিশ সদস্যরা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, দেলোয়ার হোসেন রাসেল কখনো শিক্ষক, কখনো আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দেন। মূলত তিনি আইনজীবী নন। শিক্ষক কি না তা নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। তিনি এর আগে সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছেন তা ভিত্তিহীন।
এ সময় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আবু আক্কাছ আহমদ বলেন, উভয়ের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন