বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলার সাফাই সাক্ষ্য আবারো পিছিয়েছে। সাফাই সাক্ষ্যের জন্য আগামী ১৮ এপ্রিল ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ বুধবার (৩১ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে আসামি পক্ষের সাফাই সাক্ষ্যের জন্য ধার্য ছিল। এদিন কারাগারে আটক থাকা ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে এদিন বিচারক সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ না করে নতুন দিন ধার্য করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৪ মার্চ মামলার ২৫ আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা ২২ জন নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান। ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থনে এ দাবি করেন তারা। অপর তিন আসামি পলাতক থাকায় তারা আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারেননি।
এরপর আদালত আসামিদের কাছে জানতে চান, তারা সাফাই সাক্ষ্য দেবেন কি না। তখন আসামিদের মধ্যে মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না ও মেহেদী হাসান রাসেল নিজেদের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেবেন বলে জানান। এছাড়া রাসেলের পক্ষে আরো ৫ জন সাফাই সাক্ষ্য দেবেন। আদালত ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল সাফাই সাক্ষ্যের জন্য দিন ধার্য করেন।
এ মামলায় মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
গত ৫ বছরের অক্টোবর এ মামলার বাদী ও আবরারের বাবা বরকতুল্লাহর আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তার আগে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত। একই বছরের ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে ২৫ আসামিকে অভিযুক্ত করেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ হত্যা মামলা করেন।
সূত্র : কালের কণ্ঠ