সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) রায় ঘোষণা করা হবে। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন এই রায় ঘোষণা করবেন।
এর আগে গত ২২ মার্চ রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এই দিন ধার্য করেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন।
২০১৫ সালের ১০ আগস্ট ফেসবুকে তৎকালীন এলজিআরডিমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন সাংবাদিক প্রবীর সিকদার। ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট তাঁর বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন জেলা পূজা উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা স্বপন পাল। ওই দিন সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্দিরা রোডে নিজের কার্যালয় থেকে পুলিশ তাঁকে আটক করে। পরে তাঁকে মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই ফরিদপুর কোতোয়োলি থানায় তাঁর বিরুদ্ধে আইসিটি আইন-২০০৬ সালের (সংশোধিত-২০১৩) ৫৭(১) ধারায় মামলা করেন ফরিদপুরের এপিপি (সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর) স্বপন কুমার পাল।
ওই রাতেই প্রবীর সিকদারকে ফরিদপুর নিয়ে যাওয়া হয় এবং ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তাঁকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ১৯ আগস্ট জামিনে মুক্তি পান তিনি। তাঁকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন হয়। একই দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চসহ বিভিন্ন সংগঠন রাজধানীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
প্রবীর সিকদার বর্তমানে ‘বাংলা ৭১’ নামের একটি পত্রিকা ও ‘উত্তরাধিকার ৭১’ নামে অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক।
মামলার এজাহারে স্বপন কুমার পাল উল্লেখ করেন, ফেসবুকে প্রবীর সিকদারের একটি স্ট্যাটাসে একজন মন্ত্রীর সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ায় তিনি সংক্ষুব্ধ হয়ে মামলা করেছেন।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাবাসহ পরিবারের ১৪ জনকে হারানো প্রবীর সিকদার একসময় জনকণ্ঠের ফরিদপুর প্রতিনিধি ছিলেন। সেই সময় ‘সেই রাজাকার’ শিরোনামে তিনি পত্রিকাটিতে একটি ধারাবাহিক প্রতিবেদন লেখেন। এরপরই ২০০১ সালে সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে একটি পা হারান তিনি। পরে তিনি সমকাল ও কালের কণ্ঠে কাজ করেন।
সূত্র : কালের কণ্ঠ