করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন চলাকালীন সময়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ভার্চুয়াল বেঞ্চের সংখ্যা বাড়িয়ে ৩৫ করার দাবী এবং অধস্তন আদালত (জেলা জজ ও দায়রা জজ) ভার্চুয়াল ভাবে খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে সাধারণ আইনজীবীদের পক্ষে প্রধান বিচারপতি বরাবর সাধারণ আইনজীবী ঐক্য পরিষদ এর আহবাহক মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদি স্বাক্ষরিত একটি আবেদন করা হয়।
১১ এপ্রিল (রবিবার) করা উক্ত আবেদনে সাধারণ আইনজীবীদের পক্ষে মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদি এমন দাবি করেন।
লকডাউনে সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিত আদালত বসছে না। তবে সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে পরিচালিত হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে রিট, দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার বিষয়ে একটি করে ডিভিশন বেঞ্চ এবং কোম্পানি ও অ্যাডমিরালটি সংক্রান্ত মামলার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে হাইকোর্ট বিভাগের চারটি বেঞ্চ চালু রয়েছে।
কিন্তু এরইমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদী আবেদনের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি বরাবর দাবীটি তুলে ধরেন।
আবেদনে অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী বলেন, ‘গত ১৮ মার্চ, ২০২১ থেকে ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ ছিল। ১ লা এপ্রিল ২০২১ থেকে মাত্র দুইদিনের জন্য একচুয়াল/ভার্চুয়াল ভাবে কোর্ট খুলে দেওয়া হলেও সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারনে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে চারটি বেঞ্চ ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে চালু আছে এবং নিম্ম আদালতে ১টি জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট চালু আছে। এই পরিস্থিতিতে বিচারপ্রার্থী জনগন ন্যায় বিচার থেকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি সাধারণ আইনজীবীরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে আবেদনে তিনি আরও বলেন, ‘লকডাউনের সময়ে সুপ্রিম কোর্টের ৩৫টি বেঞ্চ এবং সব নিম্ন আদালত ভার্চুয়ালি খোলা রাখার আবেদন জানাচ্ছি। লকডাউন শেষ হলে আগের মতো নিয়মিতভাবে এবং ভার্চুয়ালি আদালত খুলে দেয়ার জন্য তিনি আবেদনে প্রধান বিচারপতির সুদৃষ্টি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল (সোমবার) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে সাধারণ আইনজীবীদের ব্যানারে
মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদীর নেতৃত্বে একটি মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। সেখানেও করোনা পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ভার্চুয়াল বেঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো এবং অধস্তন আদালত (জেলা জজ ও দায়রা জজ) খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সাধারণ আইনজীবীরা।