বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

ঋণ কেলেঙ্কারি : গাজী বেলায়েতের বিদেশে যাত্রায় অনুমতি মেলেনি

ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় অনুসন্ধান চলমান থাকা অবস্থায় বিদেশ যাত্রার অনুমতি চেয়ে করা গাজী বেলায়েতের আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে আদালতের পরবর্তী নির্দেশনা ছাড়া তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রবিবার (১১ এপ্রিল) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল গাজী বেলায়েতের বিদেশে যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।

বেলায়েতের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পুলিশের বিশেষ শাখাকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বেসিক ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ভুয়া ঋণ হিসাবে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয় কমিশনে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে ৬১টি মামলা করা হয়েছে, যার তদন্ত চলমান।’

জানা গেছে, বেলায়েত বেসিক ব্যাংকের বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছেন মেসার্স বেলায়েত নেভিগেশন ও বেশ কয়েকটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে। তার মূল ব্যবসা পুরনো জাহাজ এনে ভাঙা বা স্ক্র্যাপের। এসব ঋণ নেওয়ার জন্য বেলায়েত বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চু ও তৎকালীন গুলশান শাখার ম্যানেজার শিপার আহম্মেদসহ কয়েক কর্মকর্তাকে ‘বিশাল অঙ্কের’ ঘুষ দেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বেসিক ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ৩০০ কোটি টাকার ঋণ ১২টি কোম্পানির নামে দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে এসএফজি শিপিং লাইন, এস রিসোর্সের শিপিং লাইন, এস সুহী শিপিং লাইন, শিফান শিপিং লাইন, এশিয়ান শিপিং লাইন, ল্যাবস এন্টারপ্রাইজ, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি, ডেল্টা সিস্টেমস লিমিটেড, ব্রাদার্স এন্টারপ্রাইজ, গ্রিন বাংলা হোল্ডিং কিয়েব ট্রেডিং এবং এম নাছিরউদ্দিন ও বাসগৃহ প্রোপাটিজ। কোম্পানিগুলো ১৭টি ব্যাংকের ২৪টি শাখা থেকে ৩৩টি প্রতিষ্ঠান ও ৮ ব্যক্তির নামে ৩০০ কোটি টাকা তুলে নেয়। এর মধ্যে একাধিক শিপিং লাইনের সঙ্গে বেলায়েতের সংশ্লিষ্টতা ছিল।

 

ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।