এবি ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্ট

সব মামলায় জামিনের মেয়াদ দুই সপ্তাহ বাড়ালেন সুপ্রিম কোর্ট

করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী প্রভাবে চলমান লকডাউনের মাঝে বিভিন্ন মামলায় আসামিদের জামিনের মেয়াদ এবং আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের কার্যকারিতা আরও দুই সপ্তাহ বৃদ্ধি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। ১৮ এপ্রিল (রবিবার) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব মামলায় আসামিকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জামিন দেওয়া হয়েছে বা যেসব মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অধস্তন আদালতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণের শর্তে জামিন প্রদান করা হয়েছে বা যেসব মামলায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ প্রদান করা হয়েছে, সেসব মামলার জামিন এবং সব ধরনের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের কার্যকারিতা আগামী দুই সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল পৃথক আরেক বিজ্ঞপ্তিতে সব আসামির জামিন দুই সপ্তাহ বৃদ্ধি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘প্রাদুর্ভাব হওয়া মহামারির (কোভিড-১৯) ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্ত গুলো নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

‘উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উক্ত সময়ে (সাপ্তাহিক ছুটি ও বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০২১ সালের বর্ষপঞ্জিতে ঘোষিত ছুটি ব্যতীত) বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, শিশু আদালতের বিচারক এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা “আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০” এবং এই কোর্ট কর্তৃক জারি করা এতদসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ পূর্বক শুধু জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগ থেকে প্রদত্ত জামিন আদেশের ক্ষেত্রে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জামিন নামা দাখিল করতে হবে।’
এছাড়াও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।