খুরশীদ কামাল তুষার:
বর্তমানে প্যাকেটজাত বা বোতলজাত পণ্যের গায়ে নীট পরিমানের পাশে b লেখা থাকছে। এই b লেখাটির মাধ্যমে পণ্যটি বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন, বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদন প্রাপ্ত বুঝায়।
অতি সম্প্রতি একটি আইন ‘ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন, ২০১৮’ পাশের মধ্য দিয়ে পণ্যের সঠিক তথ্য প্রদান করে লেবেলিং ও মোড়কীকরণ বাধ্যতামুলক করা হয়েছে।
এই আইনের ধারা ২৪ এ মোড়কজাত পণ্য উৎপাদন ও বিপনন সম্পর্কে বলা আছে। ধারা ২৪ এর উপধারা (গ) অনুযায়ী, ছয়টি তথ্য নিশ্চিত করতে হয় উৎপাদনকারীকে। বাংলাদেশে পণ্যের মাননিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসটিআই থেকে নির্ধারিত শর্ত পুরণ সাপেক্ষে মোড়কের ছাড়পত্র নিয়ে পণ্য বিক্রি করতে হয়।
শর্তসমুহ হলো:
– মোড়কের ভিতরের পণ্যের পরিচয়;
– মোড়কের ভিতরের পণ্যের নিট পরিমাণ এবং পণ্য মোড়কজাত করার নির্দিষ্ট পরিমাণ বা সংখ্যা;
– মোড়কের মধ্যে ধারণকৃত পণ্যের সঠিক সংখ্যা, যদি সেই পণ্য সংখ্যার দ্বারা মোড়কজাত করা হয় বা বিক্রয় করা হয়;
– মোড়কজাত পণ্যের সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য;
– পণ্য উৎপাদনের তারিখ ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবহারের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ
– উৎপাদনকারী, মোড়কজাতকারী, পরিবেশক বা বিপণনকারীর নাম এবং কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ ঠিকানা।
এই তথ্যগুলো সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করলে সে মোড়কে b মার্ক ব্যবহারের সুযোগ দেয় বিএসটিআই। অর্থাৎ একজন ভোক্তা পণ্যে নেট ওজনের সাথে b লেখা দেখলে বুঝবেন পণ্যটি সঠিকভাবে মান নিয়ন্ত্রিত এবং বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন, বিএসটিআই কর্তৃক স্বীকৃত।
ধারা ২৪ লঙ্ঘনের দণ্ড সম্পর্কে এই আইনের ধারা ৪১ এ বলা হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি যদি ধারা ২৪ বা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধির বিধানাবলি লঙ্ঘন করে মোড়কজাত আকারে, যে কোনো পণ্য বিক্রয়, পরিবেশন, সরবরাহ বা হস্তান্তর করেন অথবা পরিবেশন বা সরবরাহের ব্যবস্থা করেন, তা হলে তিনি, অনূর্ধ্ব ১(এক) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ১(এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।।
অতএব, ভোক্তাকে সঠিক তথ্য প্রদান করে পণ্য সরবরাহ করার জন্য এই আইনের ধারা দুটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে এবং ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ করছে।।
লেখক:এল এল, বি, (স্নাতক) তৃতীয় বর্ষ, আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।