বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত সব ধরনের নথি ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (১৩ জুন) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভাচ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে রুলসহ এ আদেশ দেন।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, নির্বাচন কমিশনের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সকল শিক্ষাবোর্ডকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দু কুমার রায় ও বিপুল বাগমার।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আদালত রিটের শুনানি শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পাসপোর্ট অধিদফতরে থাকা খালেদা জিয়ার নথিপত্র তলব করেছেন। জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্টে জন্মদিন পালন করা খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ বিভিন্ন নথিতে ভিন্ন কি-না বা সমন্বয়হীন কেন, মূলত তারই ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত।’
শুনানির সময় যুক্ত হয়ে রিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
আদালতে রিট আবেদন দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মামুন অর রশিদ।
আবেদনে খালেদা জিয়ার সব ধরনের সার্টিফিকেট (যেগুলোতে জন্মদিন ব্যবহার করা হয়েছে) আদালতে দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া একটি (সিঙ্গেল) জন্মদিন নির্দিষ্ট করার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছিলো।
রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, গুলশান থানার ওসি এবং খালেদা জিয়াকে বিবাদী করা হয়েছে।