কুষ্টিয়ায় গুলি করে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় খুলনার ফুলতলা থানার সহকারী উপপরিদর্শক ( এএসআই) সৌমেন রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনার তদন্তে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলা পুলিশ পৃথক পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় গঠিত কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) তানভীর আহমেদ। অন্য সদস্যরা হলেন—অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) মো. খায়রুল আলম ও জেলা বিশেষ শাখার ডিআইও-১ শেখ মাসুদুর রহমান। গঠিত কমিটি সাত কার্যদিবসে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
রোববার দিবাগত রাতে খুলনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহাবুব হাসান বলেন, এএসআই সৌমেন রায় ছুটি না নিয়ে ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। ঘটনার পর জানতে পারি তিনি কুষ্টিয়ায়। তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) তানভীর আহমেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদকে। অন্য সদস্যরা হলেন—সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন ও কুষ্টিয়া ডিআইও-১ ফয়সাল হোসেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন) এ কে এম নাহিদুল ইসলাম বলেন, দুই কার্যদিবসে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হবে।
রোববার (১৩ জুন) কুষ্টিয়া শহরে প্রকাশ্যে গুলি করে তিনজনকে হত্যা করা হয়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে শহরের ৬ নং ওয়ার্ডের কাস্টমস মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—এএসআই সৌমেনের স্ত্রী আসমা (২৫), তার আগের ঘরের ছেলে রবিন (৫) এবং পরকীয়া প্রেমিক শাকিল (২৮)। আসমা কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের নাতুড়িয়া গ্রামের আমির আলীর মেয়ে।
এ ঘটনায় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায়কে আটক করেছে পুলিশ। তিনি খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত।