রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনায় ২০১৮ সালে নিয়োগ দেয়া ১৭৫ জন আইন কর্মকর্তার (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল) নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানিতে বিব্রত হয়েছেন হাইকোর্ট।
১৫ জুন (মঙ্গলবার) রিট শুনানিতে বিচারপতি ফারাহ মাহাবুব ও বিচারপতি একটা মনিরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ বিব্রত হন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূইয়া।
এখন নিয়ম অনুযায়ী এই রিটের বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। তিনি একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিলে সেই বেঞ্চে রিট শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।
তিনি জানান, এর আগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) হারুনুর রশীদ ও কামালউদ্দীন আহমেদ এবং এক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) আল মামুন কোন কর্তৃত্ব বলে পদে আছেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। আইন সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর, বার কাউন্সিল সচিব ও সংশ্লিষ্ট তিন ডিএজি ও এএজিকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এছাড়া আরও ছয় এএজির বিষয়ে যাচাই করে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বার কাউন্সিল সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই রুলের জবাব দাখিল না করায় এবং বার কাউন্সিল থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ না পেয়ে রুল শুনানির উদ্যোগ নেই। আজ সেই রুলের শুনানিতে বিব্রতবোধ করেছেন আদালত।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ওই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ১৭৫ জন আইন কর্মকর্তার নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূইয়া।