আটদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর প্রকাশ্যে আসা আলোচিত ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান ও তার দুই সঙ্গীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের নির্দেশের পর তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
১৮ জুন (শুক্রবার) রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের কড়া পাহারায় আদালত থেকে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আবু ত্ব-হার মা ও মামা আমিনুল ইসলামের জিম্মায় তাকে হস্তান্তর করা হয়।
আমিনুল ইসলাম এসময় বলেন, আদালত থেকে পরিবারের অভিভাবক হিসেবে আমাদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল। আমি ও আবু ত্ব-হার মা অভিভাবক হিসেবে এসেছি। আমাদের জিম্মায় তাকে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
এসময় আমিনুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে রংপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম হাফিজুর রহমানের আদালতে নেওয়া হয় তাদের।
তিনি জানান, যেহেতু নিখোঁজ বিষয়ে এ থানায় জিডি করা হয়েছিল তাই তাকে আদালতে বিচারকের কাছে নেওয়া হয়েছে। এখন তাদের আবেদন অনুযায়ী বিচারক পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন।
এর আগে দুপুরে জুমার নামাজের সময় নিখোঁজ হওয়ার আটদিন পর রংপুরের চারতলা মোড়ে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসেন আদনান।
পরে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে আদনান ব্যক্তিগত কারণে আত্মগোপন করেছিলেন বলে জানায় ডিবি পুলিশ।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ব্যক্তিগত কারণে আদনান, তার দুই সঙ্গী ও ড্রাইভার আত্মগোপনে ছিলেন। গাইবান্ধায় তার বন্ধু শিহাবের বাড়িতে এতদিন অবস্থান করছিলেন। যেহেতু ব্যক্তিগত বিষয় তাই সেটি প্রকাশ্যে আনছি না আমরা। তবে এর পিছনে কোনো অপরাধ নেই বলে আদনান পুলিশকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নিখোঁজের দিনই তিনি ঢাকা থেকে গাইবান্ধায় আসেন। বাকি তিনজনকে বুঝিয়ে, অনুরোধ করে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তারা আত্মগোপনে ছিলেন। চারজনই এতদিন একসঙ্গে ছিলেন।
ব্যক্তিগত কারণটা কী- এ প্রশ্নের জবাবে আবু মারুফ হোসেন বলেন, যার যেটা ব্যক্তিগত বিষয় সেটা এভাবে প্রকাশ করতে পারি না। সেটা একান্ত তার ব্যক্তিগত। তার বউ যে মুক্তিপণের কথা বলেছেন সেটাও কোনো ফ্রড করেছে। এ বিষয়ে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এর আগে গত আটদিন ধরে চার সঙ্গীসহ নিখোঁজ ছিলেন আদনান ত্ব-হা। এ নিয়ে দেশব্যাপী তুমুল আলোচনা-সমালোচনার পর আজ তার খোঁজ মেলে।