বগুড়ায় ৩০ আসামির জামিন জালিয়াতির ঘটনায় ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী রাজু আহমেদ রাজীবকে হাইকোর্টের একটি কক্ষ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে মামলার অন্য আসামিদের আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৩ জুন) বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে পূর্ব নির্দেশনা অনুসারে হাজির হয়ে সিআইডির ইন্সপেক্টটর মো. সুলতান আদালতকে জানিয়েছেন, একই মামলায় পূর্বে গ্রেফতারকৃত আইনজীবীর সহকারী সোহাগের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আরও অনেকের নাম উঠে এসেছে।
এরপর আদালত জড়িত সবাইকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন এবং মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১২ জুলাই দিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত ৯ জুন বগুড়ায় ৩০ আসামির জামিন জালিয়াতির ঘটনায় ২ আইনজীবীসহ চার জনের সম্পৃক্ততার বিষয়ে হাইকোর্টে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি।
তদন্ত প্রতিবেদনে জালিয়াতির পুরো ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। এতে দুই আইনজীবীসহ চার জনের নাম উঠে এসেছে। এদের মধ্যে একজন ঢাকা কোর্টের আইনজীবী রাজু আহমেদ রাজীব ও বগুড়া আদালতের আইনজীবী তানজীম আলম মিসবাহ। এছাড়াও এ ঘটনায় কম্পিউটার অপারেটর মাসুদ রানা ও আইনজীবীর সহকারী মো. সোহাগের দায় রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ওই জালিয়াতির ঘটনায় সোহাগকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোহাগ এরই মধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল।
পরে আদালত তার এক আদেশে আজ বুধবার (২৩ জুন) মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে হাজির হয়ে ঘটনার বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ওই সিআইডি কর্মকর্তা হাজির হয়ে আদালতকে তদন্তের অগ্রগতি জানান।
প্রসঙ্গত, এর আগে জামিন জালিয়াতি করে বগুড়ায় ৩০ আসামির জামিনের বিষয়টি ধরা পড়লে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তাদের গ্রেফতার করতে নির্দেশ দেওয়া হয় এবং প্রতিবেদন দিতে বলেন হাইকোর্ট। জড়িতদের গ্রেফতার করতে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া বিষয়টি তদন্ত করতে বগুড়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকেও নির্দেশ দেওয়া হয়।
সুত্র- বাংলা ট্রিবিউন