রাজধানীর হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রজেক্টকে পাবলিক ট্রাস্ট (জনগণের সম্পত্তি) ঘোষণা করে প্রকল্প এলাকার সব ব্যবসায়িক স্থাপনা ৬০ দিনের মধ্যে উচ্ছেদ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুল মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।
রায়ে করা ১০টি নির্দেশনাও দিয়েছেন। সেগুলো-তুরাগ নদের রায়ের নীতি অনুসারে ঢাকার হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রজেক্টকে জনগণের সম্পত্তি ঘোষণা, হাতিরঝিল প্রকল্পে হোটেল, রেস্টুরেন্ট, দোকানসহ সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন অবৈধ এবং ৬০ দিনের মধ্যে সব বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ, প্রকল্প এলাকায় বাণিজ্যিক স্থাপনা নিষিদ্ধ ঘোষণা, প্রকল্পের সংরক্ষণ, উন্নয়ন, পরিচালনার জন্য পৃথক একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করে প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে পরিচালনা, প্রকল্পের স্থায়ী পরামর্শক হিসেবে বুয়েটের প্রকৌশল বিভাগ এবং সেনাবাহিনীর ২৪তম ব্রিগেডকে যৌথভাবে পরামর্শক নিয়োগ করা, প্রকল্প এলাকায় জনসাধারণের জন্য আন্ডারগ্রাউন্ডে ওয়াশরুম তৈরি করা।
প্রকল্প এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, পায়ে চলা, সাইকেল চালান এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, প্রকল্পের এলাকার লেকে মাছের অভয়ারণ্য তৈরি করা এবং প্রকল্প এলাকায় বাণিজ্যিক কোনো স্থাপনা হবে না।
হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রজেক্টে লে আউট প্লানের নির্দেশনার বাইরে কতিপয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে রাজউকের নিষ্ক্রিয় থাকার প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর ২০১৮ সালে রিট করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। ওই সময় রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিটকারির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সঞ্জয় মণ্ডল । রাজউকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন।