করোনা পরিস্থিতিতে সার্বিক কার্যাবলী বা চলাচলে কঠোর বিধি-নিষেধের মধ্যে আগামী ০৫ আগস্ট পর্যন্ত অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে পরিচালনা করা হবে।
এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সই করা এ বিজ্ঞপ্তি ২৩ জুলাই রাতে জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপযুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় করোনাজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করায় আগামী ০৫ আগস্ট পর্যন্ত অধস্তন আদালত/ট্রাইব্যুনালসমূহের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে পরিচালনা করার সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজ দেওয়ানি ও ফৌজদারি এবং মহানগর দায়রা জজ ফৌজদারি জরুরি দরখাস্তসমূহ প্রয়োজন অনুযায়ী তারিখ ও সময় নির্ধারণ করে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে পারবেন।
‘সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী জেলা/মহানগরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন। ’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুকে উক্ত সময়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে উপস্থাপন করা যাবে।
নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট (এনআই) অ্যাক্ট, ১৮৮১ সহ যেসব আইনে মামলা অথবা আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত আছে, সেসব আইনের অধীনে মামলা/আপিল শারীরিক উপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার সাত দিনের মধ্যে তামাদির (যেকোনো আবেদনের সময়সীমা) মেয়াদ অক্ষুন্ন গণ্যে দায়ের করা যাবে।
অধস্তন আদালতে কর্মরত সব বিচারক এবং আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কর্মস্থল ত্যাগ না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। উক্ত সময়ে জরুরি প্রয়োজন ব্যতিরেকে বিজ্ঞ আইনজীবী এবং বিচারপ্রার্থীদের আদালত প্রাঙ্গণে না আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।