প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে অধস্তন আদালতের বিচারকদের মাসিক কর্মসম্পাদন বিবরণী অনলাইনে পূরণের নির্দেশ
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট লোগো

রোববার থেকে যেভাবে চলবে অধস্তন আদালত

সাক্ষ্যগ্রহণ ব্যতীত রোববার (৮ আগস্ট) থেকে অধস্তন আদালতের সব ধরনের কার্যক্রম চলবে। যার আংশিক ভার্চুয়ালি ও শারীরিক উপস্থিতিতে হবে।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) রাতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালগুলোতে করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ৮ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ভার্চুয়ালি উপস্থিতির মাধ্যমে দেওয়ানি ও ফৌজদারি দরখাস্ত/আপিল/বিবিধ মামলাসহ সব ধরনের শুনানি গ্রহণ (সাক্ষ্য ব্যতীত) ও নিষ্পত্তি হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শারীরিক উপস্থিতিতে অধস্তন দেওয়ানি আদালতে সাকসেশন ও অভিভাবকত্ব নির্ধারণ বিষয়ক মামলা দায়ের, শুনানি ও নিষ্পত্তি করা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে ফৌজদারি আদালত ও ট্রাইব্যুনালগুলোতে নালিশি মামলা দায়ের করা যাবে।

ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি অধস্তন ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালগুলোতে শারীরিক উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণের আবেদন দাখিল করতে পারবেন। এক্ষেত্রে শুনানি কার্যক্রমের পদ্ধতি ও সময়সূচি এমনভাবে নির্ধারণ ও সমন্বয় করতে হবে, যাতে কোনো জনসমাগম না ঘটে। আত্মসমর্পণ দরখাস্ত শারীরিক উপস্থিতিতে শুনানির সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং তার পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী ব্যতীত অন্য কোনো আইনজীবী এজলাস কক্ষে অবস্থান করবেন না।

একটি আত্মসমর্পণের দরখাস্ত শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এজলাস কক্ষ ত্যাগ করার পর বিচারক/ম্যাজিস্ট্রেট পরবর্তী আত্মসমর্পণের দরখাস্ত শুনানির জন্য গ্রহণ করবেন।

অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে জামিন শুনানিকালে এবং আমলি আদালতের হাজিরার জন্য হাজতি আসামিদের কারাগার হতে প্রিজনভ্যান বা অন্য কোনোভাবে আদালত কক্ষে হাজির না করার নির্দেশ দেয়া হলো। হাজতি আসামির রিমান্ড শুনানির ক্ষেত্রে কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের লিংক পাঠিয়ে শুনানি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট আসামিকে কারাগার কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ভার্চ্যুয়ালি দেখে রিমান্ড শুনানি করতে পারবেন।

সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন।