সড়ক দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তি বা তার উত্তরসূরিদের জন্য সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮-এর ৫৩ ও ৫৪ ধারা অনুযায়ী কেন ক্ষতিপূরণ ফান্ড তহবিল) গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যৈষ্ঠ সচিব ও সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনোজ কুমার ভৌমিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এ বিষয়ে আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক গণমাধ্যমকে বলেন, ২০১৮ সালে হওয়া সড়ক আইনে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য একটি ফাউন্ডেশন করার কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ২০১৮ সালে আইন হওয়ার পরে দুই বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই আইন বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। তাই গত ১৭ আগস্ট সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ওই নোটিশের পরেও কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ৫ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আজ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার ভিকটিমের (আহত-নিহতদের) জন্য তহবিল গঠন করতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
তিনি জানান, রুলে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তি বা তার উত্তরসূরিদের ক্ষতিপূরণ দিতে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮-এর ৫৩ ও ৫৪ ধারা অনুযায়ী অবিলম্বে একটি আর্থিক সহায়তা তহবিল ও বোর্ড অব ট্রাস্ট গঠনের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ আহত হয়। আবার অনেকে সড়কে প্রাণ হারান। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী দুর্ঘটনায় আহত-নিহত ব্যক্তি বা তার উত্তরসূরিদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাখতে একটি তহবিল ও ট্রাস্ট গঠন করার কথা। কিন্তু গত দুই বছরেও একটি ট্রাস্ট বা তহবিল গঠন করা হয়নি।