চিত্রনায়িকা পরীমণির তিন দফা রিমান্ডে নেওয়ার ঘটনায় প্রশ্ন তুলে হাইকোর্ট বলেছেন, পুলিশ ডিপার্টমেন্টের বোঝা উচিত, মানুষের জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। আইনি ভিত্তি ছাড়া পুলিশ রিমান্ড চাইতে পারে না। অথচ পুলিশ পরীমণিকে তিন বার রিমান্ডে নিয়েছে, যা ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
মাদক মামলায় পরীমণিকে রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে লিখিত আদেশে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলেন। বুধবার ৫ পৃষ্ঠার ওই আদেশ প্রকাশিত হয়।
হাইকোর্ট বলেছেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা পরীমণিকে তিন বার রিমান্ডে নিয়েছেন। যেখানে প্রথমবারই রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার যথেষ্ট সময় পেয়েছেন।
রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে গত ৪ আগস্ট পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক আটক করে র্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। পরদিন মাদকদ্রব্য আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এরপর তিন দফা রিমান্ডে নেওয়া হয় পরীমণিকে। ২২ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তার জামিন আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।
এমন অবস্থার প্রেক্ষাপটে ২৬ আগস্ট পরীমণির মামলার জামিন আবেদনের ওপর দ্রুত শুনানি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। পরে পরীমণির জামিন শুনানির জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়।
৩১ আগস্ট মাদক মামলায় গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা পরীমণি জামিন পান। এর পরদিন কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।