বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. সঞ্জয় চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। সঞ্জয় বর্তমানে রাজশাহী কারা প্রশিক্ষণ একাডেমির প্রকল্প পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর আদালতে তরুণী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ২১ ডিসেম্বর ফেসবুকে ড. সঞ্জয় চক্রবর্তীর সঙ্গে বাদীর পরিচয় হয়। এরপর সঞ্জয় ফেসবুক মেসেঞ্জারে নিয়মিত যোগাযোগ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল সঞ্জয় বাদীকে সদরঘাট থেকে লঞ্চে চাঁদপুরে ভ্রমণের প্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হন। ওইদিন লঞ্চের কেবিনে সঞ্জয় তরুণীকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিলে তিনি বিয়েবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক করতে আপত্তি জানান। এরপর বিয়ে করবেন এমন কথা শুনে তরুণী সঞ্জয়ের প্রস্তাবে রাজি হন।
২০১৯ সালের ২৬ মে সঞ্জয় তরুণীকে নিয়ে লঞ্চে সদরঘাট থেকে মুন্সিগঞ্জ যান এবং বিকেলে সদরঘাট ফিরে আসেন। লঞ্চের কেবিনে তারা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী তরুণী আসামিকে বিয়ের জন্য অনুরোধ করলে তিনি বিবাহিত এবং তাকে বিয়ে করা তার পক্ষে সম্ভব না বলে জানান।
এরপর তাকে বারবার বিয়ে করার জন্য অনুরোধ করলে তরুণীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। তার ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর শ্রীনগর থানা শিক্ষা কর্মকর্তা ভুক্তভোগী তরুণীকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে আসামির সঙ্গে যোগাযোগ করা থেকে বিরত থাকতে বলেন। অন্যথায় চাকরিচ্যুত করা হবে বলে হুমকি প্রদান করেন।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামি বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে বারবার ধর্ষণ করেন, যা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) ধারা অনুযায়ী অপরাধ। অভিযোগটি নিয়ে থানায় গেলে থানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগটি আমলে না নিয়ে বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনালের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ প্রদান করায় বাদী বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করছে।