দেশের প্রতিটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সমপর্যায়ের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে উপজেলা পরিষদ ভবনের সাইনবোর্ডে ইউএনওর কার্যালয়ের পরিবর্তে উপজেলা পরিষদ কার্যালয় লেখা সাইনবোর্ড টানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ এর ধারা ১৩(ক), ১৩(খ) ও ১৩(গ) কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি ও ড. মহিউদ্দিন মো. আলামিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
মহিউদ্দিন আলামিন গণমাধ্যমকে জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানদের ক্ষমতা খর্ব করে ইউএনওদের ক্ষমতা দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৫ জুন হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আজিজসহ তিনজন উপজেলা চেয়ারম্যান এ রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ রুল জারিসহ এ আদেশ দেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের অপর এক বেঞ্চ উপজেলা পরিষদের অধীনে ন্যস্ত সব দপ্তরের কার্যক্রম পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে ও বিধি অনুসারে করার জন্য ইউএনওদের প্রতি নির্দেশনা দেন। সেইসঙ্গে এ বিষয়ে এর আগে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসরণের নির্দেশও দেন আদালত।
ইউএনওরা যাতে ওই বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করেন, সেজন্য পৃথক আরেকটি সার্কুলার জারি করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের করা এক রিটে সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে পৃথক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।