উচ্চ আদালত
উচ্চ আদালত

পারিবারিক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়া বিরোধ নিষ্পত্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিট খারিজ

স্বামী-স্ত্রীতে ও পারিবারিক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়া বিরোধ নিষ্পত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির দেওয়া নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে বিরোধ নিষ্পত্তিতে নোটিশ প্রদানে আর কোনো বাধা থাকলো না।

এ-সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রিট খারিজের আদেশ দেন।

এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশিদ আলম খান, সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট টাইটাস হিল্লোল রেমা। আর রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

শুনানিকালে রিট আবেদনকারীর আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘যাঁরা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের কাছে কেউ যদি গিয়ে অভিযোগ করেন, তাঁরা যদি অপর পক্ষকে বলেন, আসুন, মীমাংসার জন্য বসি, তাহলে ভুলটা কোথায়? এতে যাকে নোটিশ দেওয়া হলো, তার মৌলিক অধিকার খর্ব হলো কোথায়? তারা কি ডিক্রি জারি ও ওয়ারেন্ট ইস্যু করে। তারা কি সালিস না মানলে ঘর হতে বের হতে দেব না বলে? যদি তা না হয়, তাহলে ভালো উদ্যোগকে আপনি চ্যালেঞ্জ করবেন কেন?’

আদালত আরও বলেন, ‘ওঁনারা আইনি সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করেন। অপর পক্ষকে ডাকেন। যদি মনে হয়, বেআইনিভাবে নোটিশ দিয়েছেন, তাহলে যাবেন না। বিভিন্ন সংস্থা ও এনজিও আইনি সহায়তা নিয়ে কাজ করে। তারা তো কোনো দণ্ড দিচ্ছেন না। একটি উদাহরণ দেখান, তাঁরা একতরফা সালিস করেছেন। যদি না যান, আর একতরফা সিদ্ধান্ত দিলে সংক্ষুব্ধ হতে পারেন। এটি তো লিগ্যাল এইডের মতো কাজ। আপনার পছন্দ হতে পারে, না–ও হতে পারে। পছন্দ হলে যাবেন, পছন্দ না হলে যাবেন না।’

জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতিসহ এনজিওগুলো পারিবারিক বিরোধ মীমাংসার জন্য সালিশের যে নোটিশ দেয় সেটা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এই ধরনের সালিশ কোন ক্ষমতা বলে করা হয় তার এখতিয়ার নিয়ে রাজধানীর প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নুরুল আকরামের পক্ষে অ্যাডভোকেট টাইটাস হিল্লোল রেমা এ রিট দায়ের করেন।