হাইকোর্ট পারমিশনের লিখিত পরীক্ষা সংগ্রহ করা যাবে অনলাইনে
বার কাউন্সিল ও আইনজীবী

ফি জমা দিতে গিয়ে প্রতারণার শিকার আইনজীবী দিতে পারলেন না পরীক্ষা

হাইকোর্টে প্রাকটিসের পারমিশন পরীক্ষার জন্য অনলাইনে ফরম পূরণ করে ফি জমা দিতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণই করতে পারলেন না এক প্রার্থী। প্রতারণার শিকার ওই আইনজীবীর নাম রুবামা ইয়াসীন নুর। তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য।

প্রতারণার শিকার আইনজীবী রুবামা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে তিনি হাইকোর্টে প্রাকটিসের পারমিশন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন। পরে রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে তিনি পুনরায় অনলাইনে ফরম পূরণ করেন এবং টেলিটকের মাধ্যমে ১২ হাজার ৯৬০ টাকা ফি জমা দেন।

তিনি বলেন, গত ২৫ আগষ্ট রাজধানীর ২১৬ উত্তর শাহজাহানপুর রেলগেট সংলগ্ন গাউসে রহমানিয়া প্রিন্টার্স নামক কম্পিউটার দোকানের মালিক রাকিব হোসেন হৃদয়ের কাছে তিনি ফি জমা দেন। পরে প্রবেশপত্র সংক্রান্ত ফিরতি এসএমএস না আসায় তিনি হৃদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ পর্যায়ে ০১৫১৩৯০৭৩০৮ নম্বর থেকে একটি মেসেজ আসে।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ে প্রবেশপত্র না আসায় বার কাউন্সিলের সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। বার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, তার দেওয়া ফি জমা হয়নি। ওই মেসেজটি ভুয়া। এরপর ভুক্তভোগি রুবামা ২৬ ডিসেম্বর হৃদয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেন। তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রুবামা জানান, বিষয়টি বার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানোর পরও পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে তারা সুবিবেচনা করেননি।

উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) হাইকোর্ট পারমিশন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর পৃথক তিনটি কেন্দ্রে একযোগে তিনঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা সকাল ৯টায় শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।