শুক্রবার রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে দেশের ২৩ তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে শপথ পড়ান

বিচার বিভাগকে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা চান নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি

বিচারাঙ্গনে অনিয়ম-দুর্নীতি, সমস্যা যা-ই থাকুক, তা নিরসনে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। সেই সাথে বিচার বিভাগকে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

দেশের ২৩ তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগ পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা জানান। প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারাঙ্গনের যারা আছেন, তাদের পাশাপাশি দেশবাসীরও সহযোগিতা প্রয়োজন। সবার সহযোগিতা চাই। তাহলে কিছুটা হলেও বিচার বিভাগকে এগিয়ে নেওয়া যাবে।

গত বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে তাকে এ পদে নিয়োগ দেন। গতকাল শুক্রবার রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে তাঁকে শপথ পড়ান। ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যাবেন।

এদিকে আইনজ্ঞদের মত, নতুন প্রধান বিচারপতি ২১ মাস দায়িত্ব পালন করবেন। এ জন্য এখনই তাকে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করে বিচার বিভাগকে এগিয়ে নিতে হবে।

দেশের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বিশিষ্টজনের মতে, বিচার বিভাগে স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিতে নতুন প্রধান বিচারপতির সামনে পাঁচটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে-

  • দেশের আদালতগুলোতে বিচারাধীন প্রায় ৪০ লাখ মামলার জট কমিয়ে আনা,
  • আপিল বিভাগে বিচারক স্বল্পতা নিরসন,
  • বিচারাঙ্গনের অনিয়ম রোধ,
  • যুদ্ধাপরাধের বিচার ত্বরান্বিত করা এবং
  • করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল আদালত ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন।

সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা বজায় রেখে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে প্রধান বিচারপতিকে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তাহলেই বিচারব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা অটুট থাকবে।

এ ছাড়া প্রধান বিচারপতি নিয়োগকে ইস্যু করে ছুটিতে যাওয়া আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর বিষয়টিও সাংবিধানিকভাবে মোকাবিলা করা প্রয়োজন। যাতে এ নিয়ে বিচার বিভাগকে কেউ অস্থিতিশীল করার সুযোগ না পায়।