ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে সতর্ক করলেন সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন

আইনজীবী ফোরাম থেকে ব্যারিস্টার খোকনের অব্যাহতির আদেশ প্রত্যাহার

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনককে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের একাধিক নেতা এ তথ্য জানিয়েছেন।

দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতির পদ নেয়ায় ব্যারিস্টার খোকনকে বহিষ্কার করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি। গত ২১ এপ্রিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের দফতর সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।

বিগত ৬ ও ৭ মার্চ ছিল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। সভাপতি পদে নির্বাচিত হতে মরিয়া ছিলেন সাতবারের আইনজীবী সমিতির সম্পাদক এবং দুবারের সভাপতি বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। দলের বেশিরভাগ নেতাকর্মীর যখন এ নির্বাচন নিয়ে তেমন কোনও মাথাব্যথা ছিলো না, তখন ভোট গণনার সময় উপস্থিতি স্পষ্ট করে তার আগ্রহ।

নানা জটিলতা শেষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল আসে তিনদিন পর ১০ মার্চ। মাহবুব উদ্দিন খোকনের ঝুলিতে ওঠে সভাপতির পদ। কিন্তু এবার শুরু হয় দলীয় নাটক।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিদ্ধান্ত আসে নির্বাচিত হলেও দায়িত্ব নিতে পারবেন না সভাপতি। তবে ফোরামের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শাস্তি হিসেবে তাকে ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এতে ফোরামে দেখা দেয় বিভক্তি।