ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে হলফনামা তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগে এক স্ট্যাম্প বিক্রেতাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন।
আসামির নাম আশরাফুল ইসলাম। তিনি ঢাকার আদালতপাড়ায় স্ট্যাম্প বিক্রি করেন।
এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক আসামির পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী মো. রহমত আলী একজন গার্মেন্টস চাকুরিজীবী। তিনি বিদেশ যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করেন। তবে পাসপোর্টে ভুক্তভোগী ও তার বাবার নাম ভুল হয়। পরে তা সংশোধনের জন্য গত বুধবার (৫ জানুয়ারি) আদালত এলাকায় গিয়ে আসামি মো. আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় কাজের বিনিময়ে তাকে নগদ এক হাজার টাকা দেন। এরপর আসামি আশরাফুল ও তার সহযোগী মোহাম্মদ আলীর সহযোগিতায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর স্বাক্ষর সম্বলিত নোটারি পাবলিক (হলফনামা) তৈরি করে দেন।
ওইদিন বেলা আড়াইটার দিকে ভুক্তভোগী রহমত আলী হলফনামা নিয়ে চলে যান। পরবর্তীতে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ভুক্তভোগী হলফনামা নিয়ে ঢাকা মহানগর আদালতের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে যান। তখন সেখানে কর্মরতরা তাকে জানান, এ হলফনামা ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর স্বাক্ষর করা নয়।
এরপর রেজিস্ট্রার পর্যালোচনায় দেখা যায়, নোটারিটি পাবলিক হয়নি। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানাকে জানালে পুলিশ এসে আসামি আশরাফুলকে গ্রেফতার করে। তবে অপর আসামি মোহাম্মদ আলী পালিয়ে যান। এসময় একটি সিপিইউ, একটি মনিটর, একটি প্রিন্টার, কি-বোর্ড ও মাউস জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রহমত আলী রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।