আজ প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। গত বছর এই দিনে রাজধানীর মহাখালীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাকে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নানা বিষয়ে লেখালেখি করলেও আইন ও বিচার বিভাগের বিভিন্ন দিক নিয়ে লেখালেখি ছিল তাঁর সবচেয়ে আগ্রহের বিষয়। বলা যায়, বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় আইন ও বিচার বিভাগ নিয়ে লেখালেখির ক্ষেত্রে তিনি এক নতুন ধারা সৃষ্টি করেছেন। তিনি সংবিধান, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, আইনের বিধি নিয়ে সাংবাদিকতায় সক্রিয় ছিলেন।
মিজানুর রহমান খান ১৯৬৬ সালের ৩১ অক্টোবর ঝালকাঠির নলছিটিতে জন্মগ্রহণ করেন। সাংবাদিকতায় তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে সর্বশেষ প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক পদে নিযুক্ত ছিলেন। এর আগে তিনি সমকাল, যুগান্তর, মানবজমিন, মুক্তকণ্ঠ, বাংলাবাজার, নিউনেশন, সাপ্তাহিক মানচিত্র এবং বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল ও বিপ্লবী বাংলাদেশসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিকতা করেছেন।
বরিশালের বিএম কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী মিজানুর রহমান খান তিন দশক ধরে সাংবাদিকতা করেন। সংবিধান ও আইন নিয়ে লেখালেখির কারণে তিনি আইন অঙ্গনে ব্যাপক পরিচিত ছিলেন।
১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে তাঁর প্রথম বই প্রকাশিত হয়। তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘সংবিধান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিতর্ক’ (১৯৯৫), ‘বাংলাদেশের রাজনীতির সংকট ও স্বরূপ বিশ্লেষণ’ (২০০৩), ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার: অশুভ চিহ্ন’ (২০০৯), ‘১৯৭১ আমেরিকান গোপন পত্র’ (২০০৬), মার্কিন দলিলে মুজিব হত্যাকাণ্ড (২০১৩) ইত্যাদি।
এছাড়াও তিনি প্রথম সংবিধানের জেনেসিস ফিলোসফির ওপর একটি বিস্তৃত গবেষণা এবং মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয় নিয়েও গবেষণা করেছিলেন।