গণপরিবহনে নতুন বিধিনিষেধ প্রতিপালিত হচ্ছে কি না তা তদারকিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাজধানী ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামে নয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়টি তদারকির জন্য মাঠে থাকবে।
আজ শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সংস্থাটির এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আদেশ অনুযায়ী, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে কোভিড-১৯ সতর্কতায় ১১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, করোনা ভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯)-এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও দেশে এই রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হলো।
গণপরিবহনের ক্ষেত্রে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- ট্রেন, বাস এবং লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নেওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকারিতার তারিখসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। সর্বপ্রকার যানের চালক সহকারীদের আবশ্যিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা সনদধারী হতে হবে।
তবে পরবর্তীতে এ নিয়ে আপত্তি তোলে পরিবহন মালিকরা। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ‘গণপরিবহনে যত সিট, তত যাত্রী’ নেওয়ার দাবি জানান।
পরে বিআরটিএ এ দাবি মেনে নেয়। আজ থেকে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচল করার কথা। স্বাস্থ্যবিধি তদারকিতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাঠে রয়েছে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত।