রাজবাড়ীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে ‘ফুঁসলিয়ে’ নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অই আইনজীবীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। সেই সাথে ওই গৃহবধূর বিরুদ্ধেও সমন জারি করা হয়েছে।
রাজবাড়ীর ২ নম্বর আমলি আদালতে দায়ের করা মামলায় রোববার (১৬ জানুয়ারি) সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক উপরোক্ত আদেশ দেন।
অভিযুক্ত আইনজীবীর নাম নিজাম হায়দার। তিনি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরটা ইউনিয়নের মালঞ্চী গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে, প্রবাসী মোক্তার বিশ্বাস বাদি হয়ে রাজবাড়ীর ২ নম্বর আমলি আদালত ও রাজবাড়ীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযুক্ত আইনজীবীর বিরুদ্ধে দু’টি মামলা করেন। মামলায় নিজাম হায়দারকে ১ নম্বর এবং ওই নারীকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী মোক্তার বিশ্বাস পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের মালঞ্চী গ্রামের বাসিন্দা ও অভিযুক্ত আইনজীবীর প্রতিবেশী।
বাদীপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ীর ২ নম্বর আমলি আদালতে করা মামলায় ১ নম্বর আসামি নিজাম হায়দারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবং ২ নম্বর আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।
অন্যদিকে রাজবাড়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা মামলায় আসামি নিজাম হায়দারের বিরুদ্ধে শোকজসহ ভিকটিমের বিরুদ্ধে সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করা করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে ছিলেন মোক্তার বিশ্বাস। পাঁচ মাস আগে দেশে ফিরে তিনি তার টাকা-পয়সা স্ত্রীর কাছে গচ্ছিত রাখেন। এরপর তিনি আবার সৌদি চলে যান। তিনি প্রবাসে থাকার সুযোগে নিজাম হায়দার তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
গত শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে নিজাম হায়দার তার স্ত্রীকে নিয়ে উধাও হন। যাওয়ার সময় তার স্ত্রীর কাছে গচ্ছিত নগদ চার লাখ ৬০ হাজার টাকা ও ছয়-সাত ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যান।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত আইনজীবী নিজাম হায়দারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।