সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যসহ বেকসুর খালাস পাওয়া চার পুলিশ সদস্যসহ মোট ৭ জনকে মুক্তি দিয়েছে কক্সবাজার জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. নেছার আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেল সুপার জানান, কারা ফটকে আদালত থেকে ওয়ারেন্ট আসা মাত্রই আমরা ছেড়ে দিই। খালাস পাওয়া আসামিদের বন্দি রাখার এখতিয়ার কারা কর্তৃপক্ষের নেই।
এর আগে সোমবার (৩১ জানুয়ারি) আদালতের আদেশনামা জেলগেটে পৌঁছানো মাত্রই খালাসপ্রাপ্তদের মুক্তি দেওয়া হয়। বেকসুর খালাস ৭ জন হলেন- বরখাস্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, বরখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ।
এর আগে সিনহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় সাবেক ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় এজলাসে নির্বিকার ছিলেন আসামি প্রদীপ ও লিয়াকত। এছাড়া মামলার ১৫ আসামির মধ্যে বাকি চার পুলিশ সদস্য এবং তিন এপিবিএন সদস্যকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।