বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির (এমপি) বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা।
আজ বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট রনজিৎ রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনটির চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট স্যাইয়েদুল ইসলাম বাবু মানবনবন্ধন পরিচালনা করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা অ্যাডভোকেট সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ জহিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, অ্যাডভোকেট রোমানা আফরোজ ও অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির সুমন প্রমুখ।
এছাড়া মানববন্ধনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখা নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
ডা. দীপু মনি চাঁদপুরবাসীর গর্ব উল্লেখ করে এসময় বক্তারা বলেন, চাঁদপুরের উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্ত করতে গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কেউ যদি দুর্নীতি করে তাহলে তার বিচার অবশ্যই হওয়া উচিত। তবে যার কোন জায়গা নেই, তার নামে না বুঝে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক প্রতিবেদনে তিনি দাবি করেছেন, এই প্রক্রিয়ায় সরকারের প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। যদিও জেলা প্রশাসক তার প্রতিবেদনে কারও নাম উল্লেখ করেননি।
তবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু সংবাদে বিশ্বদ্যিালয়ের জন্য যাদের কাছ থেকে বেশি দামে জমি কেনা হয়েছে সেই ভূমি মালিকদের বেশির ভাগই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজন বলে দাবি করা হয়।
পরে এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গত বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডে সরকারি বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অধিগ্রহণের জন্য নির্ধারিত যে জমিটি আছে সেখানে আমার বা আমার পরিবারের কারো কোনো জমি নেই। আমার ভাইয়ের অল্প কিছু জমি ছিল, সেটা তিনি হস্তান্তর করে দিয়েছেন। যেহেতু এটি থাকলে অধিগ্রহণের সময় তিনি লাভবান হবেন, আমি যেহেতু একটা দায়িত্বে আছি, সেহেতু তিনি অধিগ্রহণের আগেই এটি হস্তান্তর করে দিয়েছেন।
এছাড়া আমার বা আমার পরিবারের এই জায়গা থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটি ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যারা এই বিষয়ে এমন তথ্য ছড়িয়ে হয়রানি বাড়াচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।