যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসল আসামির পরিবর্ততে এক ব্যক্তিকে সাজা খাটানোর অভিযোগে এবার সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরাফাতুল রাকিব শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন।
ওই আইনজীবীর নাম শরীফ শাহরিয়ার সিরাজী।
আদালতের কোতোয়ালী থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিন আইনজীবী শরীফ শাহরিয়ার সিরাজীকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক আবু সাঈদ চৌধুরী। শুনানি শেষে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, গত ১ ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মামাতো ভাইয়ের পরিবর্তে কারাগারে থাকা হোসেনকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এ হাজির করেন কারা কর্তৃপক্ষ। সেখানে সবকিছু স্বীকার করেন তিনি। হোসেন জানান, স্বেচ্ছায় তিনি মামাতো ভাইয়ের হয়ে ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যান।
এরপর কোতোয়ালী থানা পুলিশের হাতে হোসেনকে সোপর্দ করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেয়াসমিন আক্তার। একই সঙ্গে হোসেন, মূল আসামি বড় সোহাগ, তার দুই আইনজীবী শরীফ শাহরিয়ার সিরাজী ও ইব্রাহিম হোসেনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিএমএম) নির্দেশ দেন। সিএমএম ওই নির্দেশ পাওয়ার পর কোতোয়ালী থানাকে মামলা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা যায়, ২০১৭ সালে বড় সোহাগসহ তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ড দেওয়ার এক বছর পর সোহাগ সেজে হোসেন নামে এক ব্যক্তি জামিনের আবেদন করেন। এরপর আদালত ওই ব্যক্তির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
চার বছর পর গত ১ ফেব্রুয়ারি কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এ হাজির করা হয় সোহাগ নামধারী হোসেনকে। এ সময় প্রকৃত আসামি সোহাগকেও আদালতে হাজির করা হয়। এরপর আদালত সোহাগ সেজে চার বছর কারাগারে থাকা হোসেনকে কদমতলী থানার টিটু হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। মামলার যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত প্রকৃত আসামি সোহাগকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
একই সঙ্গে মিথ্যা তথ্য ও প্রতারণার দায়ে হোসেন ও তার আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে রাজধানীর কোতোয়ালি থানাকে আদেশ দেন আদালত।