স্ত্রীকে দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা করায় স্বামী-স্ত্রী উভয়ের জেল-জরিমানা
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল

মামাতো বোনকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে যুবকের ৪৪ বছরের কারাদণ্ড

শেরপুরে মামাতো বোনকে অপহরণ করে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককের ৪৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৯ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত ব্যক্তির নাম শফিকুল ইসলাম (৩৭)। তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার গোয়ালবর এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে।

এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জয়নাল আবেদীন নামে অপর এক আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া। তিনি জানান, রায়ে ধর্ষণের দায়ে শফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন বা ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

অন্যদিকে অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ডণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে উভয় সাজা একইসঙ্গে কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, শফিকুল ইসলাম তার মামাতো বোন ঝিনাইগাতী উপজেলার ভারুয়া গ্রামের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে (১২) নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। একপর্যায়ে ২০১৫ সালের ১০ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরণ করে। এরপর বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।

পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ১৮ আগস্ট শফিকুলসহ ৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে ঝিনাইগাতী থানার এসআই ইউনুস আলী বিশ্বাস ২০১৬ সালের ১৬ জানুয়ারি প্রধান আসামি শফিকুল ও তার সহযোগী জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

কিন্তু মামলার শুরু থেকেই উভয় আসামি পলাতক থাকেন। বিচারিক পর্যায়ে সংবাদদাতা বাদী, ভিকটিম, জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।