বায়ুদূষণের পাশাপাশি সবচেয়ে দূষিত এলাকা চিহ্নিত ও দূষণ কমাতে পরিকল্পনা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দূষণ রোধে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা কেন গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুলে জারি করা হয়েছে। বায়ুদূষণ রোধে সরকারের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
এছাড়া দূষণ রোধে সরকারের বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র যথাযথ আাছে কি না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার মাত্রা ভেদে কোন এলাকায় বায়ুদূষণ কেমন, জনগণকে তা জানাতে হবে যাতে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সুরক্ষা নেওয়া যায়।
এজন্য উপযুক্ত স্থানে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত কন্টিনিউয়াস এয়ার মনিটরিং স্টেশন (সিএএমএস) বসানো এবং বিপজ্জনক ও অস্বাস্থ্যকর বায়ু থেকে জনগণকে রক্ষা করতে অ্যালার্ট পদ্ধতি প্রবর্তন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে পরিবেশ দূষণ রোধে মাটির ইটের পরিবর্তে ব্লকের ব্যবহার কবে থেকে শুরু হবে তার সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
বায়ুদূষণ রোধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) রিটটি করে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।