মাদকসহ আটক করে পরীমণির মিডিয়া ট্রায়াল করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একজন নারীকে পেয়ে ভিকটিম বানিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত।
মামলা বাতিল চেয়ে করা পরীমণির আবেদনের শুনানিকালে আজ রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
পরে আবেদনের উপর আগামীকাল সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শুনানি ও আদেশের দিন ধার্য করেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমণির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। পরে তাকে গুলশান থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
গত ৩১ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন।
এ মামলায় ৪ অক্টোবর পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অভিযোগপত্র দাখিলের পর ১০ অক্টোবর পরীমণি ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন নেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পরীমণির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমণির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরীমণি এ মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমণি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।
পরে একই মামলায় গত ৫ জানুয়ারি পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম অভিযোগ গঠন করেন।
একই সঙ্গে আদালত পরীমণিসহ তিনজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন নামঞ্জুর করেন। মামলার অপর দুই আসামি হলেন, আশরাফুল ইসলাম দীপু ও কবির হোসেন।
এরপর গত ৩০ জানুয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ ও মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১ক ধারা অনুযায়ী আবেদনটি করা হয়।