শিশু আনন্দ হত্যা মামলায় বিচারে আইনের বিচ্যুতি ঘটায় রংপুরের তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা জজ, বর্তমানে ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
আজ সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি শহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. কামরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের শিশু আনন্দ হত্যা মামলার আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানিকালে বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানকে তলব করেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় পাঁচ বছরের শিশু আনন্দ ওরফে বিশাল চন্দ্রকে হত্যার অভিযোগে মা আদুরি রানি ও সৎ বাবা বিপিন চন্দ্রকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। ২০১৬ সালের মে মাসে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় শিশুটির সৎ বাবা জেলহাজতে থাকলেও মা জামিন নিয়ে পলাতক ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মিঠাপুকুরের ছড়ান হিন্দুপাড়ার আদুরি রানী প্রথম স্বামী বিকাশ চন্দ্রের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর চার বছরের ছেলেসহ বিয়ে করেন একই এলাকার বিপিন চন্দ্রকে।
ঘটনার দিন ২০১৪ সালের ১১ এপ্রিল আনন্দকে গলা টিপে হত্যা করে বিকাশের ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখেন মা আদুরি ও সৎ বাবা বিপিন।
বিষয়টি জানাজানির পর আদুরি ও বিপিনকে আটক করে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী। পুলিশের কাছে দুজন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন।
এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুসলিম উদ্দিন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদুরি রানী ও বিপিন চন্দ্রকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট ফারুক মো. রেয়াজুল করিম ও আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম হায়দার খোকন।