মেহেরপুরে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা করার দায়ে এক নারীকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয়মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম গত রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত নারীর নাম ডালিয়া নাসরিন। তিনি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাহাগুন্দা গ্রামের জমির উদ্দিনের মেয়ে।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এ কে এম আসাদুজ্জামান রায়ের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর উপজেলার বাহাগুন্দা গ্রামের মুক্তার সাহার ছেলে আবুল কালাম একই গ্রামের জমির উদ্দিনের মেয়ে ডালিয়া নাসরিনসহ মহসিন আলী, জামেলা খাতুন, শহিদা খাতুনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারী কালাম উল্লেখ করেন, তার বাড়ি ও আসামিদের বাড়ি পাশাপাশি। তার মেয়ে কাকলিকে মারধর করার কারণে কাকলি গাংনী থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি ডালিয়া নাসরিন জামিন লাভের পর আবুল কালামসহ একই গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে লাল মিয়া এবং মেঘা শেখের ছেলে শাকিলের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মিথ্যা অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
এরপর ডালিয়ার করা ধর্ষণচেষ্টার মামলাটি তদন্ত করে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। পরে প্রতিবেদনটি ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল। পরে ট্রাইব্যুনাল আসামিদের এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। একই সঙ্গে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দেন বিচারক।
এদিকে ডালিয়ার বিরুদ্ধে আসামি আবুল কালাম অভিযোগকারী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে নালিশি দরখাস্ত করেন। এ মামলায় মোট পাঁচজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এ রায় দেন।