অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলা বাতিল চেয়ে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে তার বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতেমামলাটি চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আজ মঙ্গলবার (১ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মুনসুরুল হক চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
এর আগে, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এরপর তিনি মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন।
পরে ২০২১ সালের ২৬ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি হয়।
একই বছরের ২৯ জুন চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ ও মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ কুমার দাশের অবৈধ সম্পদ দেখভালের দায়িত্ব কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে দেন।
এরপর ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার এজাহারে উল্লিখিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।