ইতিহাস গড়লেন মিশরের নারী বিচারক রাদওয়া হেলমি। বিচারকাজ পরিচালনায় দেশটির অন্যতম শীর্ষ আদালত স্টেট কাউন্সিলের বেঞ্চে বসা প্রথম নারী বিচারক তিনি।
১৯৪৬ সালে প্রশাসনিক বিরোধ ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মামলার বিচারে প্রতিষ্ঠিত হয় স্টেট কাউন্সিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্বাধীন এ সংস্থায় এ পর্যন্ত কোনো নারীকে বিচারক হিসেবে দেখা যায়নি।
কাউন্সিল দীর্ঘদিন ধরেই নারী মনোনয়নের বিরোধিতা করে আসছিল। কিন্তু ২০২১ সালের ৩ অক্টোবর সেই বিরোধী দেয়াল গুঁড়িয়ে দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ৯৮ জন নারীকে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেন। এরমধ্যে বিচারপতি হেলমিই প্রথম স্টেট কাউন্সিলের বেঞ্চে বসলেন।
যদিও মিশরে বিচারক হিসেবে নারীদের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার কোনো বিধান নেই, তবুও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে বিচার বিভাগ দীর্ঘদিন ধরে পুরুষতান্ত্রিক।
উনিশ শতকে একটি আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে দেশটির প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মিশরে নারীরা নানা অধিকার থেকে বঞ্চিত। ১৯৫৬ সালে নারীদের ভোটাধিকার এবং সরকারি চাকরি করা রধিকার পায়। তবে তাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা সীমিত রাখা হয়।
তবে তাহানি এল-গেবালিকে ২০০৩ সালে মিশরীয় সাংবিধানিক ট্রাইব্যুনালে নিযুক্ত করা হয়েছিল, যিনি দেশটির প্রথম নারী বিচারক।