আদালতে বাংলা ভাষার প্রচলনের স্বার্থে দণ্ডবিধি, ফৌজদারি ও দেওয়ানি কার্যবিধিসহ দেশের মৌলিক আইনসমূহের বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic Text) প্রকাশ করতে নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (১৪ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
একইসঙ্গে এসব আইনের বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশের জন্য বাংলা একাডেমি, আইন কমিশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ ও বাংলা বিভাগের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন আদালত। কমিটিকে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
আদেশের বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে দেশের মৌলিক আইনসমূহের বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic Text) প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর। তারা হলেন- অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, মীর ওসমান বিন নাসিম, মো. আসাদ উদ্দিন, মোহা. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জোবায়েদুর রহমান, মো. আব্দুস সবুর দেওয়ান, আল রেজা মো. আমির, আবদুল্লাহ হিল মারুফ ফাহিম, জি এম মুজাহিদুর রহমান ও মো. জহিরুল ইসলাম।
রিটে মৌলিক আইনসমূহ তথা দণ্ডবিধি, ১৮৬০; সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২; চুক্তি আইন, ১৮৭২; সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭; দেওয়ানি আদালত আইন (সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট), ১৮৮৭; সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, ১৮৮২; ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮; দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮; তামাদি আইন, ১৯০৮; বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট (আপিল বিভাগ) রুলস, ১৯৮৮; বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট (হাইকোর্ট বিভাগ) রুলস, ১৯৭৩; ক্রিমিনাল রুলস অ্যান্ড অর্ডারস (প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রসিডিউর অব সাবর্ডিনেট কোর্টস), ২০০৯; সিভিল রুলস অ্যান্ড অর্ডারস -এর বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক সচিব, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়।