স্ত্রী ‘নারী’ নয়, এমন অভিযোগ তুলে ভারতের মধ্যপ্রদেশের এক ব্যক্তি দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। সেই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট ওই নারীকে তার স্বামীর বিবাহবিচ্ছেদের (তালাক) আবেদনের জবাব দিতে আদেশ দিয়েছেন। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তির অভিযোগ, মেডিকেল রিপোর্ট অনুসারে তার স্ত্রী ‘নারী’ নয় এবং তিনি প্রতারিত বোধ করছেন। এ নিয়ে গত শুক্রবার (১১ মার্চ) বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল এবং এমএম সুন্দরেশ ওই নারীকে তার স্বামীর আবেদনের জবাব দাখিল করতে বলেছেন।
ওই নারীর মেডিকেল রিপোর্ট দেখায় যে, তার গোপনাঙ্গে পেনিস ও অসম্পূর্ণ বা ছিদ্রযুক্ত হাইমেন রয়েছে। সুতরাং, তিনি নারী নয়। সুপ্রিম কোর্ট নোটিশ জারি করে বলেছেন, যেন চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দেয়।
এর আগে হাইকোর্ট ওই ব্যক্তির আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন। বলেছিল, কেবল মৌখিক প্রমাণের ভিত্তিতে এবং মেডিকেল প্রমাণ ছাড়া একটি প্রতারণার অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।
অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা ২০১৬ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু তার স্ত্রী কয়েকদিন মিলনে আগ্রহ দেখায়নি। ঋতুস্রাব হয়েছে, এই দাবি করে যৌনমিলন থেকে বিরত থাকে। এরপর সে চলে যায় এবং ছয়দিন পর ফিরে আসে।
আবেদনে বলা হয়েছে, যখন পুরুষটি তার স্ত্রীর সঙ্গে যৌনমিলন করতে যায় তখন দেখতে পায়, যোনি খোলার উপস্থিতি নেই এবং সেখানে একটি ছোট পেনিস ছিল, শিশুদের মতো।