জনস্বার্থে ‘মুসলিম বিয়ে ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা’ আধুনিক ও যুগোপযোগী করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
আজ সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইন এবং বিধিমালা নিয়ে আলোচনায় এ সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে দ্য মুসলিম ম্যারিজ অ্যান্ড ডির্ভোস (রেজিস্ট্রেশন) অ্যাক্ট, ১৯৭৪ বাস্তবায়ন ও অগ্রগতির ওপর বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং নিকাহ রেজিস্ট্রার কর্তৃক ২০১৯ ২০২১ সাল পর্যন্ত ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হিসাব বিবরণী উপস্থাপন করা হয়।
একইসঙ্গে বৈঠকে কমিটি বলেছে, বিয়ের নিবন্ধনে আলাদা ‘দুই ধরনের’ খাতা রেখে ‘অসত্য তথ্য’ দেওয়ায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। সরকার ফি নির্দিষ্ট করে দেওয়ার পরও যারা বাড়তি ফি নিচ্ছেন তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
এ সময় বৈঠকে মন্ত্রণালয় জানায়, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ২০২০-২১ অর্থবছরে নয়জন নিবন্ধককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুইজনের সনদ বাতিল করা হয়েছে।
বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিকাহ রেজিস্ট্রারদের কাছ থেকে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট সাত কোটি ৮৫ হাজার ৪৫৮ টাকা কোষাগারে জমা পড়েছে।
শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল মজিদ খান এবং রুমিন ফারহানা অংশ নেন। বৈঠকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিচার বিভাগের সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা ২০০৯ এ বলা আছে, একজন নিকাহ নিবন্ধক চার লাখ টাকা পর্যন্ত দেনমোহরের ক্ষেত্রে প্রতি এক হাজার টাকার জন্য সাড়ে ১২ টাকা ফি নিতে পারবেন। দেনমোহর চার লাখের বেশি হলে এর পর থেকে প্রতি এক লাখ বা অংশ বিশেষের জন্য ১০০ টাকা নিবন্ধন ফি নিতে পারবেন। তবে সর্বনিম্ন ফি হবে ২০০ টাকা। তালাক নিবন্ধনের ফি ৫০০ টাকা। একজন নিবন্ধক বছরে সরকারি কোষাগারে ১০ হাজার টাকা নিবন্ধন ফি এবং নবায়নের জন্য পাঁচ হাজার টাকা জমা দেন।