আদালত অবমানার দায়ে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা এহেসান উল্লাহকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নিত্যানন্দ সরকার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী আসামী নির্ধারিত সময়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি। বিজ্ঞ আদালত ন্যায় বিচারের স্বার্থে ওই আসামীর জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
মামলার এজাহারে জানা য়ায়, ২০২১ সালে স্থানীয় সরকার ইউপি নির্বাচনে একদল উস্খৃল যুবক বালিয়াডাঙ্গী থানার বড় পলাশবাড়ি ইউনিয়নের মোড়লহাট বাজারে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারনা অফিসে হামলা চালিয়ে চেয়ার, নগদ ১০হাজার টাকা, নৌকা প্রতিকের পোষ্টার, প্রধানমন্ত্রী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত পোষ্টার ছিড়ে ফেলে পদদলিত করে উল্লাস করতে থাকে এবং নৌকা প্রতীকের অফিসের সামনে থাকা দুটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
একই ঘটনা ঘটায় বালিয়াহাটে। সেখানে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আঃ মালেককে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় সিদ্দিক আলী নামে এক ব্যক্তি বাদি হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫০-২৯৯ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার এজাহারভূক্ত আসামীরা হলেন- উপজেলার বোবড়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে উপজেলার উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা এহেসান উল্লাহ বাবুল (৫২), মোমিনুল ইসলাম ভাসানী (৫০), সাদেকুল ইসলাম (৪৮)। একই গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে আবু মাষ্টার (৫২), বেলসারা ঝুড়িবস্তি গ্রামের সামশুল হুদার ছেলে পল্টু(৪০), ঝিকড়া বেলসারা গ্রামের মফিজ উদ্দীনের ছেলে মো. আফাক (৫০), একই গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে দবিরুল (৩৫), বেলসারা বালিয়াবস্তি গ্রামের মৃত সাহেরতের ছেলে নরেশ (৪০), বেলসারা বানিয়াবস্তি গ্রামের আলহাজ ছেপাতেলীর ছেলে মো. সুলতান (৫২)।
মামলার সূত্রে আরও জানা যায়, ইতিপূর্বে মামলার ৪নং আসামী আবু মাষ্টার হাজতবাস করে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মামলার ১নং আসামী এহেসান উল্লাহ হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের জন্য জামিনে মুক্তি পান কিন্তু তিনি নির্ধারিত তারিখে অধস্তন আদালতে আত্মসমর্পন না করায় হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করেন।
এরপর গত সোমবার (২১ মার্চ) অধস্তন আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিচারক আদালত অবমাননার দায়ে ওই কর্মকর্তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।