গাজীপুরে শিক্ষানবিশ আইনজীবী ফিরোজ্জামান ওরফে সোহেলকে (২৮) হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাকিদের মধ্যে দুজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন এবং একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের ফৌজদারি ও জেল আপিল শুনানি শেষে বুধবার (৩০ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী ও এসএম শাহজাহান।
জানা যায়, ২০০৮ সালের ৯ মার্চ শিক্ষানবিশ আইনজীবী সোহেলকে গাজীপুরের দক্ষিণ ছায়াবিথী এলাকায় কুপিয়ে জখম করা হয়। পরদিন হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় তার বাবা মো. সোহরাব উদ্দিন ভাণ্ডারি বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় তদন্ত শেষ করে ওই বছরের ১০ জুলাই আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
বিচার শেষে ২০১৬ সালে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম এনামুল হক পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ আসামির মধ্যে মা আমেনা বেগম এবং তার তিন ছেলে তিথী, সজল ও বাপ্পী রয়েছেন। আরেক আসামি তার বোনের ছেলে বাদল। এ পাঁচ আসামিদের মধ্যে দুই ভাই তিথী এবং সজলের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। পলাতক আমেনা এবং আরেক ছেলে বাপ্পীর সাজা পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন দিয়েছেন। নারী বিবেচনায় আমেনা এবং বয়স কম বিচেনায় বাপ্পীর সাজা কমানো হয়। আশরাফুল ওরফে বাদল নামে আরেকজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।