জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট যে সব আদেশ দিয়েছেন এবং পদক্ষেপ নিয়েছেন তা আদালত বিবেচনা করে আদেশ দেবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল।
জাতীয় পরিষদের (এনএ) ডেপুটি স্পিকার কাসিম শূরী কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল এবং পরে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভীর পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পরের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে প্রধান বিচারপতি এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। রবিবার সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র একথা জানিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল, বিচারপতি ইজাজুল আহসান ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী মজহারের সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ এ মামলার শুনানি করেন।
আইনজীবী আসাদ রহিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণের পর আদালতের আদেশ না হওয়া পর্যন্ত, ‘জাতীয় পরিষদের অবস্থা অনিশ্চিত’।
জারি করা লিখিত আদেশে সর্বোচ্চ আদালত জাতীয় পরিষদের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেনি। তবে বলেছে, অ্যাটর্নি জেনারেল খালিদ জাভেদ খানকে ডেপুটি স্পিকারের অনাস্থা প্রস্তাব নাকচের সিদ্ধান্তের সাংবিধানিকতা সংবিধানের ৫ অনুচ্ছেদের আলোকে যাচাই করে দেখতে হবে।
পাকিস্তানি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫-এ বলা হয়েছে প্রত্যেক নাগরিক সংবিধান ও আইনের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে বাধ্য থাকবে। এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক কর্তব্য’।
আদেশে আদালত আরো পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, ‘আমরা এটিও পরীক্ষা করতে চাই যে, এই জাতীয় পদক্ষেপ (অনুচ্ছেদ ৫-এর ভিত্তিতে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করা) সংবিধানের ৬৯ অনুচ্ছেদে থাকা রক্ষাকবচ (আদালতের এখতিয়ার থেকে অব্যাহতি) দ্বারা সুরক্ষিত কিনা।’