পুলিশ (প্রতীকী ছবি)
পুলিশ (প্রতীকী ছবি)

স্ত্রীর মামলায় পুলিশ পরিদর্শক কারাগারে

নির্যাতন করে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার মামলায় পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমজি আজম রোববার (৩ এপ্রিল) এ আদেশ দেন।

বরগুনা তালতলি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত রফিকুল ইসলামের বাড়ি ঝিনাইদহ সদরের হলিধানী প্রতাপপুর গ্রামে। ২০১৩ সালে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত অবস্থায় তিনি বিয়ে করেন। কনে কালিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের ঠিকাদার মৃত আব্দুল মজিদের মেয়ে তানিয়া আফরিন। তিন লাখ টাকা কাবিনে এ বিয়ে হয়।

মামলায় বলা হয়েছে, রফিকুল যৌতুক হিসেবে বিয়ের আগে পাঁচ লাখ ও বিয়ের পর ১৩ লাখ টাকা নেন। এরপরও ২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী তানিয়াকে নির্যাতন করেন তিনি।

দাবি করা টাকা না পেয়ে ঢাকায় উত্তরার বাসা থেকে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর তানিয়াকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেন রফিকুলের পরিবারের সদস্যরা। এ বিষয়ে মীমাংসার জন্য ২৫ ডিসেম্বর পারিবারিক বৈঠক হলে স্ত্রীকে দোতলায় ডেকে নিয়ে বেদম মারপিট করে চলে যান রফিকুল। তখন তানিয়াকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু জানান, ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি তানিয়া তার স্বামী রফিকুল ইসলাম, শাশুড়ি রাহেলা খাতুন, দেবর সাইফুল ইসলাম ও সাইফুলের স্ত্রী নাহারের নামে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পিটিশন মামলা দেন। বিচারক অভিযোগটির বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।

পরে বিচারিক হাকিম ইয়াসমিন নাহার ছয়জনের সাক্ষী নিয়ে রফিকুলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পান। তিনি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দিলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমজি আজম আসামি রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল রোববার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানির পর বিচারক জামিন আবেদন বাতিল করে আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালতের পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান জানান, জামিন বাতিল হওয়ায় পরিদর্শক রফিকুল ইসলামকে সাতক্ষীরা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।