জুনিয়র আইনজীবীদের আদালতের ভরসাস্থল হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির উত্তর হলে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বুধবার (৬ এপ্রিল) তিনি এ আহ্বান জানান।
সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনিরের লেখা ‘অ্যান ওভারভিউ অব ১০০ সেনসেশনাল মার্ডার কেসেস অব বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রকাশিত বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমার ৪১ বছরের বিচারিক জীবনে আপনাদের কাছ থেকে অনেক শিখেছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পাস করার পর ৯ মাস আমি আইনজীবী হিসেবে অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছিলাম। পরে আমি বিসিএস দিয়ে বিচার বিভাগে চলে আসি।’
নিজের স্মৃতিকথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘একমাত্র নারী আইনজীবী হিসেবে রাজশাহী আদালতে আমি প্রথম শুনানিতে অংশ নিয়েছিলাম। এখনতো মহিলারা ভালো করছেন, এটা শুধু আমি মহিলা হিসেবে বলছি না। আমি বিচারিক জীবনে বিচার করতে গিয়ে আপনাদের কাছ থেকেই শিখেছি।’
বইটির লেখক আইনজীবী শিশির মনিরের প্রশংসা করে বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ বলেন, ‘এখন থেকে ২০/২৫ বছর পরে তখন হয়তো আমরা অনেকেই থাকবো না। এত বছর পরে আইন অঙ্গনে আজকের মতো, খন্দকার মাহবুব হোসেনের (সিনিয়র অ্যাডভোকেট) মতো আইনজীবীরা থাকবেন, তাদের মধ্যে একজন হবেন শিশির মনির।’
আপিল বিভাগের এই বিচারক বলেন, ‘আমার বেঞ্চে যখন শিশির মনির দাঁড়াতো তখন আমি খুব ভরসা পেতাম। আইনের ব্যাখ্যা এবং রেফারেন্সগুলো তুলে ধরেন তিনি। এই যে ভরসাস্থল। একজন জুনিয়র আইনজীবী আদালতের ভরসাস্থল হিসেবে দাঁড়াতে পারেন, সেজন্য জুনিয়রদের উদ্দেশে বলবো, আপনারা এমন একটা জায়গায় যান।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- সিনিয়র অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, মুনসুরুল হক চৌধুরী, এম. শামসুল হক, একেএম ফজলুল হক খান ফরিদ ও এসএম শাহজাহান।
প্রসঙ্গত, ‘অ্যান ওভারভিউ অব ১০০ সেনসেশনাল মার্ডার কেসেস অব বাংলাদেশ’ শিরোনামের বইটিতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জেল হত্যা মামলা, সৌদি কূটনীতিক খালাফ হত্যা, স্কলাস্টিকার ছাত্রী শাজনীন হত্যা, ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যা, এরশাদ শিকদারের মামলাসহ ১০০ গুরুত্বপূর্ণ মামলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।