সমান অধিকার ও সম মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “বৈষম্য বিরোধী আইন ২০২২’’ শিরোনামে সংসদে আনীত বিল উত্থাপনের জন্য সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।
পাশাপাশি দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষিত বৈষম্য নিরসনে প্রয়োজনীয় এ আইনটি দ্রুত প্রণয়ন এবং প্রস্তাবিত আইনের সুস্পষ্ট কয়েকটি বিষয় পুনর্বিবেচনার দাবী জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাটি। একইসাথে আইনটি চূড়ান্তকরণের পূর্বে এই আইনের সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনদের নিয়ে গণশুনানী আয়োজনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ব্লাস্ট।
সংস্থাটি বলছে, প্রস্তাবিত বিলে একজন ব্যক্তি যে সকল কারণে বৈষম্যের শিকার হয় সে করণগুলো সুস্পষ্ট করতে হবে। এছাড়াও বৈষম্যের শিকার জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি ও অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের জন্য প্রস্তাবিত আইনের সকল কমিটি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, লিঙ্গ বৈচিত্রময় জনগোষ্ঠী, দালিত, আদিবাসী এবং নারী প্রতিনিধির অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
ব্লাস্ট বলছে, বৈষম্যের শিকার ব্যক্তির যথাযথ ও দ্রুত প্রতিকার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একই সাথে প্রশাসনিক ও বিচারিক প্রতিকার প্রাপ্তির ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রশাসনিক প্রতিকারের বিষয়টি যথাসম্ভব সুনির্দিষ্ট এবং প্রতিকার প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজতর করতে হবে।
এছাড়াও প্রস্তাবিত আইনে বৈষম্যমূলক আচরণ বা কার্যের ফলে ফৌজদারি প্রতিকারের কোন বিধান রাখা হয়নি, যা প্রস্তাবিত আইনের মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করতে পারে বলেও মনে করছে ব্লাস্ট।
উপরোক্ত বিষয়গুলো যথাযথ বিবেচনায় নিয়ে খসড়া বৈষম্য বিরোধী আইনটি দ্রুত প্রণয়নের দাবী জানিয়েছে সংগঠনটি।