পাকিস্তানের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের বিচার চেয়ে এক আইনজীবীর আবেদন আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ইকবাল হায়দার নামের ওই আইনজীবীকে এক লাখ রুপি জরিমানা করেছে আদালত।
ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ গত সোমবার (১১ এপ্রিল) এ আদেশ দেন। এ সময় ইমরান খানের নাম দেশত্যাগের নিষিদ্ধ তালিকায় (ইসিএল) রাখার যে আবেদন করা হয়েছিল তাও প্রত্যাখ্যান করা হয়।
আবেদন শুনানির শুরুতে নিজের পক্ষে প্রামাণ দিয়ে পিটিশনকারী ইকবাল হায়দার বলেন, বিরোধী দলগুলো তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট প্রস্তাব করেন। ইমরান খান শুরুতে নীরব ছিলেন। পরে চিঠি দেখিয়ে তিনি বলেন, তার সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।
সেই সাথে ওই চিঠি ও যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদের পাঠানো কূটনৈতিক তারবার্তার বিষয়বস্তু তদন্তের আবেদন করেন তিনি।
তবে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট পিটিশনটি ‘ফালতু’ আখ্যা দিয়ে তা খারিজ করে দিয়েছেন। আদালত বলেন, কূটনীতিক তারবার্তাকে ‘বিতর্কিত’ করার চেষ্টা করেছেন আবেদনকারী। এ জন্য তাকে এক লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে।
আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রদ্রোহের মতো একটি কথাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। কোনো নাগরিক নিজেকে আরেকজনের চেয়ে বেশি দেশপ্রেমিক দাবি করতে পারেন না। একইভাবে অন্য কেউ রাষ্ট্রদ্রোহ করেছেন কোনো নাগরিকের তা বলার অধিকার নেই।
আদেশে বলা হয়, পিটিশনে ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেওয়ার মতো নয়। একজন পাকিস্তান কূটনীতিকের পাঠানো তারবার্তাকে বিতর্কিত করা এবং বিচারের বিষয়ে পরিণত করা জনগণ এবং রাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী।
উল্লেখ্য, আইনজীবী হায়দার একজন অভ্যাসগত মামলাকারী হিসাবে পরিচিত। অতীতে তাকে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।
সূত্র: ডন