পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির
পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির

ঘুষ লেনদেন: হাইকোর্টে মিজানের জামিন, বাছিরের জরিমানা স্থগিত

ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে দুই মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আট বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

আজ বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো.খুরশীদ আলম খান। তিনি জানান, মিজানুর রহমানকে দুই মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিষয়টি কমিশনকে (দুদক) অবহিত করেছি। কমিশন যদি সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে আপিল করা হবে।

এদিকে ডিআইজি মিজানুর রহমানের দণ্ড বাড়াতে হাইকোর্টে আবেদন করা বলেও জানান দুদকের আইনজীবী।

অন্যদিকে দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন বলেও জানান আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, তার ৮০ লাখ টাকা জরিমানা স্থগিত করেছেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। একইসঙ্গে বিচারিক আদালতের যাবতীয় নথি তলব করেছেন।

এর আগে খালাস চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেন মিজানুর রহমান। গত ৬ এপ্রিল তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ মামলায় রায় দেন।

রায়ে দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাছিরকে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এর মধ্যে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫(এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে মানি লন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাছিরের দুটি দণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে তাকে পাঁচ বছর দণ্ড ভোগ করতে হবে।

তবে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় উভয়ে দোষী সাব্যস্ত হলেও একই ধরনের অভিযোগে দণ্ডিত হওয়ায় এ ধারায় কাউকেই সাজা দেওয়া হয়নি।